ছবি : সংগৃহীত

একজন ক্রিকেটারের জীবনে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য জাতীয় দলে খেলা। সেই লক্ষ্য পূরণের আশায় নুমান আলি কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের ৩৪ বছর। দীর্ঘ ১৩ বছরের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার, ৩৪ বছর ১১১ দিন বয়সে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক। যেখানে তিনি উজ্জ্বল ইতিহাস গড়ে, দলকে জিতিয়েও। 

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে গিয়েছিল ২২০ রানে। নুমান ওই ইনিংসে ৩৮ রান দিয়ে পেয়েছিলেন দুই উইকেট। শুরুর ধাক্কা সামলে নিজেদের প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদেরও ভালোভাবেই জবাব দিয়েছিল স্বাগতিক পাকিস্তান। ফাওয়াদ আলমের সেঞ্চুরিতে করেছিল ৩৭৮ রান। 

১৫৮ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় দিনশেষে ৪ উইকেট হারিয়ে তারা তুলে ১৮৭ রান। কিন্তু চতুর্থ দিনেই খেই হারায় প্রোটিয়াদের ব্যাটিং। সেখানেই নুমান দেখান নিজের ঘূর্ণি জাদু। 

একে একে তুলে নেন পাঁচ প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানকে। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকাও গুটিয়ে যায় ২৪৫ রানে। নুমান গড়েন ইতিহাস। ৭২ বছরে তার মতো অভিষেকেই এমন বোলিং ফিগার নেই আর কোনো পাকিস্তানের বোলারের। ৭২ বছর আগে টেস্ট অভিষেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ফেন ক্রেসওয়েলই পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ৩৪ বছর ১৪৪ দিন বয়সে।

নুমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর মাত্র ৮৮ রানের লক্ষ্য পায় পাকিস্তান। তিন উইকেট হারিয়ে এই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা। সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে আজহার আলীর ব্যাট থেকে। 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৭ টেস্টে পাকিস্তানের এটি পঞ্চম জয়। ২০১৩ সালের পর পেল প্রথম জয়ের দেখা। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস : ২২০/১০ (ডিন এলগার ১০৬ বলে ৫৮ রান; ইয়াসির শাহ ৫৪/৩)
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস : ৩৭৮/১০ (ফাওয়াদ আলম ২৪৫ বলে ১০৯; কাগিসো রাবাদা ৭০/৩)
দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংস : ২৪৫/১০ (এইডেন মার্করাম ২২৪ বলে ৭৪ রান; ৩৫/৫)
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: ৯০/৩ (আজহার আলি ৪৭ বলে ৩১ রান; এনরিক নরকিয়া ২৪/২)

এমএইচ/এটি