‘বাদল স্যারের’ সঙ্গী হলেন দিদার
দিদার হোসেন, যার ছবি এখন কেবলই স্মৃতি/ফাইল ছবি
ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলি আসার আগে মতিঝিলের বাফুফে ভবন ছিল ক্রীড়াঙ্গনের এক আড্ডার জায়গা। সেই আড্ডাস্থল ছিল সাবেক সহ-সভাপতি বাদল রায়ের কক্ষ। বাদল রায় শুধু ফুটবল নয়, ক্রীড়া ও রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তার কক্ষেই ভিড় হতো ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট অনেকের।
সেই আড্ডায় অধিকাংশ সময় চা বিস্কুট এনে আরও প্রাণ সঞ্চার করতেন বাফুফের পিয়ন দিদার হোসেন। বাদল রায় পৃথিবী ছেড়েছেন গত নভেম্বরে। সাত মাসের মধ্যেই ‘বাদল স্যারের’ -সঙ্গী হলেন দিদার। পদবী অফিস সহকারী বা পিয়ন হলেও দিদার ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সবার পরিচিত মুখই ছিলেন। সদা হাস্যোজ্বল দিদারের হাতে বানানো চা পান করেনি এমন লোক ফুটবলাঙ্গনে পাওয়া দুষ্কর।
বিজ্ঞাপন
সেই দিদার আজ মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় কিডনি জনিত অসুস্থতায় শাহজাহানপুরে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তিনি স্ত্রী ও ২ মেয়ে রেখে গেছেন। শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি জামে মসজিদে জানাজা শেষে শরীয়তপুরে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হবে।
দেশের ফুটবলকে ভালোবেসে দিদারের মতো অনেকেই এখানে চাকরি বেছে নিয়ে কষ্টে জীবন কাটিয়ে দেন। ফুটবল ফেডারেশনে এখন দীনতা নেই। ফেডারেশনে অনেকের বেতন লাখ ছুঁই ছুঁই করলেও প্রান্তিক কর্মচারিদের দিকে তেমন কোনো নজর নেই। প্রান্তিক কর্মচারীদের অবসর ভাতা, অসময়ে মৃত্যুতে পরিবারের সাহায্যের ব্যাপারে অবশ্য এখনো কোনো নীতিমালা নেই।
বিজ্ঞাপন
দিদারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাফুফে। তারা দিদারের পরিবারের জন্য কিছু করবে কি? সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য এমন কোন নজির নেই।
এজেড/এটি/এনইউ