সাইফের ফুটবলারদের গোল উদযাপন ছবি : সংগৃহীত

ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে সাডেন ডেথে হেরেছিল মোহামেডান। লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে মোহামেডান সেই হারের প্রতিশোধ নেয়ার পরিবর্তে পুনরায় আবার হারের তেতো স্বাদ পেল সাদা কালোরা। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে সাইফ স্পোর্টিং ২-১ গোলে ঢাকা মোহামেডানকে হারিয়েছে। 

এই জয়ে সাইফ স্পোর্টিং দুই ম্যাচ শেষে চার পয়েন্ট আর ঢাকা মোহামেডান তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করল। হোম ম্যাচে মোহামেডানের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ম্যাচের প্রথম ত্রিশ মিনিট সফরকারী সাইফ স্পোর্টিংকে দারুণভাবে চেপে ধরেছিল শন লে’র শিষ্যরা। সাইফের গোলরক্ষক পাপ্পুর অবস্থা ছিল অনেকটা ত্রাহি ত্রাহি। 

সাত মিনিটে সুযোগ এসেছিল মোহামেডানের। ডিফেন্ডার মোহাম্মদ আতিকুজ্জামানের লম্বা থ্রো থেকে মোহামেডানের কেউ মাথা ছোঁয়াতে পারেনি। চার মিনিট পর ভালো জায়গায় ফ্রি কিক পেয়েছিল মোহামেডান। কিন্তু মিডফিল্ডার হাবিবুর রহমান সোহাগের শট কাজে আসেনি। এরপরপই সোহাগের শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলে গোলবঞ্চিত হয় মোহামেডান।  

ম্যাচের ১৭ মিনিটের মধ্যেই ছয়টি কর্ণার পায় মোহামেডান। অন্যদিকে সাইফ প্রথম কর্ণার পায় ২০ মিনিটে। ৩০ মিনিটে সুযোগ তৈরী হয়েছিল সাইফের। কিন্তু ইয়াসিন আরাফাতের ক্রসে প্রস্তুত ছিলেন মোহামেডানের গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপু।
 
৪১ মিনিটে সুযোগ এসেছিল মোহামেডানের। কিন্তু মিঠুর ক্রসে বল সাইফের গোলকিপার পাপ্পুর কাছে। বল দখল, আক্রমণ সব দিক দিয়েই মোহামেডান এগিয়ে থাকলেও ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ৪৪ মিনিটে মোহামেডানের জাল কাপিয়েছেন আরিফুর রহমান। 

তিন মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ায় সাইফ স্পোর্টিং। কাউন্টার অ্যাটাকে মিডফিল্ড থেকে পাওয়া থ্রু পাস বক্সের মধ্যে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন সাইফের নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার জন ওকলি।

সাইফের ২-০ গোলের লিডে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুযোগ এসেছিল সাইফ স্পোর্টিংয়ের। কিন্তু জন ওকলি কাজে লাগাতে পারেননি। ৫৩ মিনিটে মোহামেডানের নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার আবিওলা নুরাত শট নিলেও বিপদ হতে দেননি সাইফের গোলরক্ষক পাপ্পু হোসাইন। 

৬০ মিনিটে ব্যবধান কমায় মোহামেডান। হাবিবুর রহমান সোহাগের ফ্রি কিক থেকে হেডের মাধ্যমে বল জালে জড়ান মোহামেডানের জাপানিজ অধিনায়ক নাগাতা। ৭৭ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনার সুযোগ হাতছাড়া হয় মোহামেডানের। ৮৬ মিনিটে মোহামেডানের গোলের সুযোগ নষ্ট করেন দেন সাইফের অধিনায়ক রিয়াদুল হাসান রাফি। ম্যাচে সমতা আনতে অনেক চেষ্টাই চালিয়েছে মোহামেডান। 

ম্যাচের শেষ দিকে জন ওকলি যে শট নিয়েছিলেন তাতে মনে হয়েছিল গোল হয়েই গেছে। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে সাইফ ফুটবলার ফাহিমের শটে প্রস্তুত ছিলেন মোহামেডানের গোলকিপার। শেষে পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। 

এজেড/এমএইচ/এটি