ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। টঙ্গী ভেন্যুর স্বাগতিক উত্তর বারিধারা নিজেদের প্রথম হোম ম্যাচে জিততে পারেনি। ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে। 

প্রথম ম্যাচে দুই দলের হাই স্কোরিং ম্যাচের চেয়ে আরচ্যারি মাঠে ফুটবল ম্যাচেই ছিল বেশি আলোচনায়। স্টেডিয়ামে প্রবেশের মুখেই লেখা 'আরচ্যারি ট্রেনিং সেন্টার'। বাইরের মতো ভেতরেও একই অবস্থা। সব কিছুই আরচ্যারির এর মধ্যে শুধু যেন জোর করে ফুটবল ম্যাচ চালানো। মাঠে রঙ করা হয়েছে খেলা শুরুর দিন সকালে। ছিল না খেলোয়াড়দের বসার ডাগ আউট। ঢাকা থেকে এনে সেটা যতক্ষণে বসানো হয়েছে, খেলার তখন বাকি আর মিনিট কয়েক। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্স রাখতে হয় মাঠের কাছাকাছি, সেটাও ছিল অনেকদূরে।

রাস্তার পাশের স্টেডিয়াম, চারপাশে গাছ বাগান। তার মধ্যেই পূর্ব পাশে চলছে গ্যালারি তৈরির কাজ। উদ্বোধনী এসে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, শিগগিরই হবে সংস্কার। এই স্টেডিয়ামে বন্ধ ভিআইপি গ্যালারি, খোলা নেই মিডিয়া বক্সও। অপ্রস্তত প্রেসবক্স, ছোট মাঠ সহ সব মিলিয়ে অনেক অব্যবস্থাপনার মধ্যেই টঙ্গীতে ফুটবল হলো। সবকিছুতেই ছাপ স্পষ্ট শেষ মুহূর্তের তোড়জোড়ের। বাফুফের সিনিয়র সহ সভাপতি সালাম মুর্শেদি সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত। এক বাক্যের সংক্ষিপ্ত উত্তর লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের, ‘সব ঠিক হয়ে যাবে সামনে'।

টঙ্গীর দর্শকরা স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করেই ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করেছেন। ফুটবলের আনুষ্ঠানিক মানদণ্ডে ম্যাচে অনেক সাংগঠনিক দুর্বলতা থাকলেও ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও উত্তর বারিধারা উভয় দল তিন গোল করে দর্শকদের অবশ্য খুশি করেছে। 

নিরুত্তাপ প্রথমার্ধ শেষে পরের অর্ধে হলো গোল উৎসব। ম্যাচের ছয়টি গোলই দ্বিতীয়ার্ধে। ৬১ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোল আসে ব্রাদার্সের শফিকুলের পা থেকে। ১৩ মিনিট পর গোল শোধ করেন উত্তর বারিধার সুমন। ৮৫ মিনিটে ব্রাদার্সকে ফের এগিয়ে দেন ফুরকাট। দুই মিনিট বাদে গোল আবারও শোধ দেন ইভগেনি। পরের মিনিটেই সামসনের গোলে আবারও এগিয়ে যায় ব্রাদার্স। ম্যাচের তখন শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষা, জয় উল্লাসে মেতে উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন সময়ই ম্যাচের ৯৩ মিনিটে স্বাগতিক বারিধারার জুয়েলের গোলে ম্যাচের স্কোরলাইন ৩-৩। দুই দলেরই লিগে এটি প্রথম পয়েন্ট। 

এজেড/এমএইচ/এটি/টিআইএস